অ্যাকাউন্টেবিলিটি আমার কাছে খুবই মূল্যবান — কারণ আমি জানি, কেউই নিখুঁত নয়। কিন্তু আমি এক জিনিস একদম সহ্য করতে পারি না — যখন কেউ নিজের কাজের দায় এড়িয়ে আমার প্রতিক্রিয়াকেই দোষ দিতে চায়। আগুন তো তুমি জ্বেলেছো, আমি শুধু তার তাপে সাড়া দিয়েছি — সেটাকেই এখন “অতিরিক্ত” বলবে?
আমি আমার কথা, আমার সুর, এমনকি আমার আবেগের দায় নিতে পারি। কিন্তু কেউ যদি নিজের ভুলটাকে আড়াল করতে গিয়ে আমার প্রতিক্রিয়াকেই মূল সমস্যা বানায় — সেখানে আমি চুপ থাকব না। অনেক সহজ কারও আবেগকে “বেশি সেনসিটিভ” বা “অতিরিক্ত রিয়্যাক্টিভ” বলে দাগিয়ে দেওয়া, কিন্তু সাহস লাগে নিজের আচরণের দিকে তাকাতে — স্বীকার করতে যে, হ্যাঁ, আমি সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলাম। আমি কষ্ট দিয়েছি, আমি দাগ কেটেছি। আর যখন কেউ সেটা না করে উল্টো আমার প্রতিক্রিয়াকেই অপরাধ বানায় — তখন সম্পর্কটা ভেতর থেকেই ভেঙে যায়।
আমি বিশ্বাস করি কথোপকথনে, বোঝাপড়ায়, একসঙ্গে বড় হতে। কিন্তু এসব কিছুর শিকড় Accountability ছাড়া গজায় না। তুমি কখনও কোনও ক্ষত সারাতে পারবে না যদি বারবার বলো, “আমি কিছু করিনি।” তুমি শান্তি পাবে না যদি অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজেকে নির্দোষ ভাবো। সেটাই হচ্ছে মানসিক অসততা — আর আমি তার অংশ হতে চাই না।
আমি বরং বেশি শ্রদ্ধা করি সেই মানুষটাকে, যে বলে — “হ্যাঁ, আমি ভুল করেছি।” কারণ ভুল তো সবাই করে, কিন্তু সেই ভুলের দায় নেওয়াটাই বলে দেয়, মানুষটার চরিত্র কেমন। সম্পর্ক কেবল তখনই টেকে, যখন দুইজন মানুষই নিজেদের ভুল স্বীকার করতে জানে, আর শেখার জায়গা রাখে।
দিনের শেষে আমি নিখুঁত মানুষ চাই না — আমি চাই সত্যিকারের মানুষ। যে পালাবে না নিজের দায় থেকে, যে সাহস রাখে নিজের ক্ষতের দিকে তাকানোর। সম্পর্ক যদি সত্যি মজবুত করতে চাও, তবে সেটা সাজানো মুখোশে নয়, সত্যের উপর দাঁড়াতে হবে — যতই অস্বস্তিকর হোক না কেন। 🥀